অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি বিতর্কে মুখোমুখি ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্ক শুরুতেই মূল্যস্ফিতি নিয়ে কথা বলেন দুই প্রার্থী। এছাড়া কর, অভিবাসন, অস্ত্র আইনসহ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান তুলে ধরেন দুই প্রার্থী।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায়) ফিলাডেলফিয়ায় দুই প্রার্থীর মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প-কমলার ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখছে এই বিতর্ক।
ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে এবিসি নিউজের আয়োজনে শুরু হয় বিতর্ক। চলে ৯০ মিনিট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি বিতর্কে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হন ট্রাম্প-হ্যারিস।
প্রথমেই অর্থনীতি ইস্যুতে শুরু হয় বিতর্ক। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের অধীনে গেল বছর মাকিনীদের বার্ষিক আয় ৪ শতাংশ বাড়লেও মূল্যস্ফিতি স্পষ্ট। ট্রাম্প তার সময়ে অর্থনীতি এর চেয়ে ভালো ছিলো বলে দাবি করেন।
আর কমলা হ্যারিস, জীবনযাপনের ব্যয় কমানোর প্রস্তাব দেন।
পর একে একে গর্ভপাত, অভিবাসন, করপোরেট ট্যাক্স, অস্ত্র আইনসহ জাতীয় নানা ইস্যু নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি তুলে ধরেন ট্র্যাম্প-হ্যারিস।
আর বিতর্কে ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও কথা বলেন- হ্যারিস ও ট্রাম্প।
বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কমালা হ্যারিস ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। তিনি নিজের মতো করে আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন।’
ট্রাম্প দাবি করেন, ‘তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধই হতো না। কমালা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, আমার বিশ্বাস দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের অস্তিত্বই থাকবে না।’
তিনি বাইডেন এবং হ্যারিসকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আখ্যা দিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটান।
বিতর্কের আগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের জরিপে দেখা যায়, জনপ্রিয়তায় কমলা ও ট্রাম্প সমানে সমান। বিশ্লেষকরা বলছেন, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর নির্বাচনের ফলাফলেই নির্ধারিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর ট্রাম্প-হ্যারিসের ভাগ্য।
আর এই বিতর্কে সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে কোন প্রার্থী এসব অঙ্গরাজ্যের ভোট বেশি টানতে পারছেন।
Leave a Reply